শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:২৬ অপরাহ্ন
সুমন খান, বানারীপাড়া ॥
বানারীপাড়া উপজেলায় উঠতি বয়সি ছেলে মেয়েদের বর্তমানে একটা ভাইরাস জ্বরের নাম হচ্ছে পর্নোগ্রাফি ভিডিও। এই বয়সি প্রায় ছেলে মেয়ের এন্ড্রোয়েট মোবাইল ফোনে পাওয়া যাবে এই ধরনের অশ্লিল পর্নো ভিডিও। যা তারা ইন্টারনেট ও মোবাইলে মেমোরি ডাউন লোডের মাধ্যমে পেয়ে থাকে। উপজেলার কিছু কিছু দোকানে প্রকাশ্যেই চলছে পর্নোগ্রাফি ডাউন লোডের রমরমা ব্যবসা। যে কারণে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের নিয়ে চরম বেকায়দায় রয়েছেন অভিভাবকবৃন্দরা । দেশে অবৈধ এ পর্নোগ্রাফি ও অশ্লীল ভিডিও চিত্র মোবাইলের মেমোরিতে ধারণ ও বিপনণ ব্যবসা প্রতিহত করার লক্ষ্যে একটি আইন থাকলেও সরকারের প্রনীত এ আইনের প্রতি অবজ্ঞা করে উপজেলার কম্পিউটারের দোকান থেকে চালানো হচ্ছে ঐ সমস্ত অবৈধ অশ্লীল ভিডিও চিত্রের লোড দেয়া নেয়ার কার্যক্রম। স্কুল কলেজের নির্ধারিত সময়ে, বিকালে, সন্ধার পরে বিভিন্ন নিরিবিলি জায়গায়,মাঠের মাঝখানে, আবাসনের আনাচে কানাচে নদীর বিভিন্ন চরে, বিভিন্ন বিল্ডিং এর ছাদে দেখা যায় কয়েকজন মিলে একত্রে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখার হিরিক। এছাড়া কিছু ফ্লাট বাসায় স্কুলের মেয়েরা তাদের বয়ফ্রেন্ডের নিয়ে পর্নোগ্রাফি দেখাসহ অনেক অনৈতিক কার্যক্রম করে যা বেশ সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তানেরা । উপজেলার বিভিন্ন স্পটে , রাস্তার মোড়ে গড়ে উঠেছে কম্পিউটারের দোকানগুলোতে মেমোরির মাধ্যমে ডাউন লোডের দোকান। যেখানে উচ্চ শব্দে গান বাজানোর ফলে শব্দ দুষনে সুধী সমাজের যাতায়াতে প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। জানা গেছে উপজেলার বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে দিনরাত প্রকাশ্যেই মেমোরিতে লোড ও সিডি,ডিভিডি রাইটিং কর্মকান্ডের মাধ্যমে সমাজের জন্য ক্ষতিকর নীল ছবির জমজমাট ব্যবসা চলছে। মাত্র ১০/১৫ টাকার বিনিময়ে খুব সহজেই এসব পর্নো ছবি লোড করতে পারায় দোকান গুলোতে উঠতি বয়সের যুবক ও ছাত্রদের ভীড় লেগেই থাকে। এমন ও দেখা গেছে স্কুল কলেজের মেয়েরা নিজেরাও দোকানে গিয়ে এই সকল ভিডিও ডাউন লোড করছে। আবার দোকানীরা অনেক সময় গান ডাউনলোড করার ফাকে পর্নো ভিডিও মেমোরি কার্ডে লোড দিয়ে দিচ্ছে যা করে বিগত দিনে এক দোকানী ঐ মেয়ের পরিবারের রোশানলে পড়েছিল। এই পর্নোগ্রাফির ছোবলে সমাজের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। অপরদিকে স্কুল চলাকালে বিভিন্ন বাজারে কম্পিউটার দোকানগুলোতে নীল ছবি দেখানো হচ্ছে। এতে করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পর্নোগ্রাফির দিকে আসক্ত হচ্ছে। এর ফলে সমাজে ইভটিচিং, যৌন হয়রানী সহ ধর্ষন প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। উপজেলার সচেতন অভিভাবকগণ মনে করছেন অবৈধ এ পর্নো ছবি ব্যবসার ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গুলোর সকল কম্পিউটার প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে জব্দ ও জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। পাশাপাশি স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের মোবাইল নিষিদ্ধ সহ মোবাইল গুলো যাচাই করলে শিক্ষার্থীরা এহেন অপরাধ থেকে কিছুটা হলেও ফিরে আসবে নয়তো দিনে দিনে ধ্বংস হয়ে যাবে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply